নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাতে নিহত বেড়ে ৪২০ জনে দাঁড়িয়েছে । আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ জন মানুষ। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এই তথ্য জানিয়েছে।
চলমান সংঘাতের কারণে সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে দেশটিতে একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মার্কিন কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ১০০ জনকে তারা সরিয়ে নিয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্য জানায়, সুদান থেকে তারা ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স গতকাল জানায়, তারা তাদের নাগরিকসহ অন্যদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
ইতালি, নেদারল্যান্ডস, গ্রিসসহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্ধারপ্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে। তুরস্ক গতকাল ভোরে সড়কপথে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু পরে বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে তা স্থগিত করা হয়।
গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এই সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আছেন আরএসএফের প্রধান সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিল’-এর নামে দেশ পরিচালনা করছিলেন।
এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপরদিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।
Posted ১২:১৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin