নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে দীর্ঘ দুই মাস ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে হচ্ছে আজ। আর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। মাছ শিকারের জাল, নৌকা ও ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। জেলেরা মাছ শিকারের মধ্য দিয়ে ধার-দেনা পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।
লক্ষ্মীপুর সদরের মজুচৌধুরী হাট, করাতির হাট, চররমনী মোহনের বিভিন্ন ঘাট, কমলনগরের মাতব্বরহাট, লুধুয়া এবং নাসিরগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কেউ জাল বুনছে, আবার কেউ নৌকা, ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসে থাকার যেন সময় নেই তাদের।
জেলেরা জানান, দীর্ঘ দুই মাস নদীতে অভিযান ছিল। তাই নদীতে যেতে পারেননি। ৩০ এপ্রিল রাত ১২টার পর নদীতে নামবেন। এর জন্য মাছ ধরার সব সরঞ্জাম প্রস্তুত করছেন তারা।
মতিরহাটের জেলে আব্দুল্যাহ বলেন, দুই মাস মাছ ধরতে পারিনি। এ সময় আমাদের আয়ও বন্ধ ছিল। এতদিন মুদি দোকানের বাকি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছি। রোববার রাত ১২ টার পর নদীতে গিয়ে আশা করছি ইলিশসহ সব ধরণের বড় বড় মাছ পাবো। মাছ বিক্রি করে ধার-দেনা পরিশোধ করবো এবং আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে।
এদিকে আড়ৎদাররা আগে ভাগেই মাছের আড়ত খুলে পরিষ্কার করে রাখছেন। এ দুই মাস ব্যবসা বন্ধ থাকায় অনেক লোকসান হয়েছে তাদের। জেলেরা নিষেধাজ্ঞার পরে নদীতে গিয়ে বেশি মাছ শিকার করবে। এতে ব্যবসাও জমজমাট হবে। আর বিগত দুই মাসের লোকসান পুশিয়ে উঠতে পারবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোয়ার জামান বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা উৎসাহ নিয়ে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নামবে। নিয়ম মেনে জেলেরা তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করতে পারবে। এতে তাদের দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে উঠবে।
ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের রামগতি আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদীতে সব ধরনের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
Posted ২:১৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin