নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
পান থেকে চুন খসলেই স্ত্রীকে পেটান কৃষক আব্দুল মালেক। মায়ের কথা শুনে বউ পেটানোর অপরাধে আগের তিন বউ তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। চতুর্থবারের মত গার্মেন্টসকর্মী রিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন দুই বছর আগে। এখন ঘরে একটি সন্তান। মায়ের কথা শুনে প্রায়ই রিয়ার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালান আব্দুল মালেক।
প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে রিয়া খাতুনকে তার স্বামী আব্দুল মালেক ও শাশুড়ি ঝাড়ু দিয়ে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে রিয়া খাতুন তার স্বামী আব্দুল মালেকের লিঙ্গ ধরে সজোরে টান দেন। এতে স্বামীর লিঙ্গ উপড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আবীর হাসান বলেন, আব্দুল মালেকের লিঙ্গ ভিতর থেকে বের হয়ে আসার উপক্রম হয়েছে। তার লিঙ্গে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত আব্দুল মালেক বলেন, ঘরে একটি মুরগী মলত্যাগ করেছে। এটি আমার মা স্ত্রীকে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করছিল। আমি তাকে নিষেধ করাই আমাকেও গালাগাল শুরু করে। আমি তাকে ঝাড়ু দিয়ে আঘাত করায় আমার লিঙ্গ ধরে সে টানাটানি শুরু করে।
এদিকে রিয়া খাতুন অভিযোগ করেন আমার স্বামী তার মায়ের কথা শুনে আমার ওপর প্রায় নির্যাতন করে আসছিল। আজকে আমার শাশুড়ি ছেলেকে উস্কে দিলে আমাকে মারপিট শুরু করে। নিজের আত্মরক্ষার্থে তার লিঙ্গ ধরে টান মেরে আমি প্রাণে বেঁচেছি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় আহতকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইনগত বিষয় এখন প্রক্রিয়াধীন।
Posted ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin