দিনাজপুরে ঘোড়াঘাটে পারিবারিক কলহের জের ধরে মনিরা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর তার স্বামী পালিয়ে গেছেন। শনিবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার নারায়ণপুর গ্রাম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (১২ মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরা খাতুন (২৬) দেওগ্রাম-ভূতগাড়ী গ্রামের আবদুল মমিন মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে ঘাতক স্বামী সাখাওয়াত মিয়া (৩২) নারায়ণপুর গ্রামের মামুনুর রশিদের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মনিরা খাতুন ও সাখাওয়াত মিয়ার। তাদের ৪ বছর বয়সি একটি ছেলেসন্তানও আছে। দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এসব নিয়ে একাধিবার গ্রামে সালিশ-বিচারও হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ওই দম্পতির মধ্যে নতুন করে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে পেটায় স্বামী সাখাওয়াত। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান মনিরা খাতুন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মনিরা খাতুনকে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক আছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
