নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শপথ নেয়ার পরপরই তিনি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। এতে সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মেহমেত সিমসেককে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
আঙ্কারায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন তুরস্কের
শনিবার (৩ জুন) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্যকে পরিবর্তন করেছেন এরদোয়ান।
আঠার সদস্যের মন্ত্রিসভায় তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সেভডেত ইলমাজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হাকান ফিদান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া, অর্থমন্ত্রী মেহমেত সিমসেক, শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ তেকিন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার, যিনি তুরস্কের চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল, আরআইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ইলমাজ তুনশি।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে পরিবার ও সমাজসেবামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মাহিনুর ওজদেমি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ওসমান আসকিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোচা, যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সিমসেক ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তুরস্কের অর্থমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। এখন তার মূল ভূমিকা হতে পারে বছরের পর বছর ধরে চলা নীতি থেকে বের হয়ে এসে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও সুদের হার কমিয়ে আনা ও বাজারের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে আসা।
এর আগে, ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা ভোটে এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পান ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট। দেশটির নিয়মানুযায়ী কোনো পক্ষই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট হয়। ২৮ মে এ ভোটে ৫২.১২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এরদোয়ান। অন্যদিকে কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭.৮৮ শতাংশ ভোট।
Posted ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin