নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমাড়া গ্রামের শামছুদ্দিনের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই প্রতিবন্ধী। জন্মের সময় থেকে কৈশোরের আগ পর্যন্ত সকলের শারীরিক গঠন ও চলাফেরায় কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা লক্ষ্য করা যায় না। কিন্তু বয়স ১৩ থেকে ১৪ পেরোতেই কোমরের নিচ থেকে অবশ হয়ে পড়ে। ফলে চলাফেরায় অক্ষম হয়ে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় তাদের।
জানা যায়, শামছুদ্দিন ও নুরজাহান দম্পত্তির সংসারে রয়েছেন পাঁচ ছেলে এক মেয়েসহ ১৩ জন সদস্য। এর মধ্যে ছেলে নয়ন মিয়া, রাজিব মিয়া, নাজমূল মিয়া, মামুন মিয়া ও মেয়ে খাদিজা শারীরিক গঠন সুঠাম দেহের অধিকারী হলেও হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হচ্ছে। তবে পাঁচজনের জন্য রয়েছে একটি মাত্র হুইলচেয়ার। এর মধ্যে তিনজন প্রতিবন্ধী ভাতা পেলে চলে না সংসার।
প্রতিবন্ধী নয়ন মিয়া ঠাডারকান্দা বাজারে আরিফ মিয়ার দোকানে ঠুকঠাক সাইকেল মেরামতের কাজ করেন। এছাড়া প্রতিবন্ধী রাজিব বাড়ির পাশে ছোট একটি মনিহারী দোকান দিয়ে বসে থাকেন। সেই দোকানেও রয়েছে মালামালের স্বল্পতা। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. এহসানুল হক জানান, তিনজন প্রতিবন্ধী ভাতা পান। আবেদনের সময় চলে যাওয়ায় অন্য দুজনের এখনো ভাতার ব্যবস্থা হয়নি।
হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকো জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলো না। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মো. সাইফুল ইসলাম ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
Posted ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin