রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক বাহিনী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেলারুশে নয় রাশিয়ায় আছেন বলে জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেছেন, ‘বেলারুশের ভূখণ্ডে নয়, প্রিগোজিন সেইন্ট পিটার্সবার্গে আছেন।’ খবর: বিবিসি ও সিএনএন’র।

গত মাসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজের সেনাবহর নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পর থেকে ভাগনারপ্রধানের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

ভাগনার বিদ্রোহ মেটাতে মধ্যস্থতা করেছিলেন বেলারুশ নেতা লুকাশেঙ্কো। শর্ত ছিল, ভাগনারপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে না এবং তাকে বেলারুশে অবস্থান করতে দেওয়া হবে।

সপ্তাহ খানেক আগে লুকাশেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ভাগনারপ্রধান বেলারুশে পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার লুকাশেঙ্কো জানালেন, তিনি রাশিয়াতেই অবস্থান করছেন। রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরে তিনি রয়েছেন।

অন্যদিকে সেইন্ট পিটার্সবার্গে প্রিগোজিনের বাসভবনে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েশে বলে জানায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। পরচুলা, নগদ অর্থ ও অনেকগুলো কয়েকটি পিস্তলের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার লুকাশেঙ্কো এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘ভাগনারপ্রধান প্রিগোজিন মুক্ত অবস্থায় আছেন।’

বিবিসি প্রিগোজিনকে বহনকারী ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের গতিবিধি ট্র্যাক করেছিল। জুনের শেষদিকে একদিন সেটি বেলারুশে যায় এবং সেদিনই সন্ধ্যায় রাশিয়ায় ফেরত যায়। পরে সেইন্ট পিটার্সবার্গ ও মস্কোর মধ্যে বেশ কয়েকবার যাতায়াত করে উড়োজাহাজটি। তবে বিবিসি ভাগনারপ্রধানের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘যতদূর জানি, ভাগনারের যোদ্ধারা এখনও তাদের ঘাঁটিগুলোতেই আছে। এগুলোর অবস্থান পূর্ব ইউক্রেন ও রাশিয়ার ক্রাসনদার অঞ্চলে।’ ওয়াগনার গ্রুপের কিছু যোদ্ধাকেও বেলারুশে অবস্থানের আমন্ত্রণ জানান লুকাশেঙ্কো। প্রতিবেশী ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জন্য অবশ্য এ প্রস্তাব উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোভিয়েত আমলের কিছু সামরিক স্থাপনা ভাগনার সদস্যদের ব্যবহার করতে দিতে চায় বেলারুশ।

লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘কিন্তু ভাগনারের লক্ষ্যউদ্দেশ্য ভিন্ন, তবে অবশ্যই সেটি আমি এখন বলব না। এখনও তাদের স্থানান্তরের ইস্যুটির সমাধা হয়নি।