সোমবার ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের উন্নয়ন জাতীয় বিজ্ঞাপনের বড় অস্ত্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | প্রিন্ট

বাংলাদেশের উন্নয়ন জাতীয় বিজ্ঞাপনের বড় অস্ত্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, সেটাই দেশটির জাতীয় বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র; কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ২৯তম ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।

এ সময় পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের এফডিআই বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের একক বৃহত্তম উৎস যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশে ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলার মার্কিন বিনিয়োগ আছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রফতানির একক বৃহত্তম গন্তব্য। বাংলাদেশে যত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তার অর্ধেক উৎপাদনের পেছনে মার্কিন বিনিয়োগ আছে। বিদ্যুতের বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত টারবাইন দিয়ে উৎপাদিত হয়।

পিটার হাস আরো বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, সেটাই দেশটির জাতীয় বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র; কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে। মার্কিন বিনিয়োগকারীরা সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠিক করেন না যে, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন। বরং তারা ভাবেন, কোথায় সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে ব্যবসা করে বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে। তারা সব সময় অনেক বিষয় খতিয়ে দেখেন, কোথায় ব্যবসা করা যায়। ফলে অন্য অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এখানে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। সেই প্রতিযোগিতায় ভালো করতে হলে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে হবে।

পিটার হাসের এ কথার প্রেক্ষাপটে সালমান এফ রহমান তার বক্তৃতায় বলেন, ২০০৯ সালের পর শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি নয়, সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশও বদলে গেছে। সেজন্য বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য। বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে পিটার হাস যে মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডলারের দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি, যা আমাদের কমানো দরকার। একই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতিতে কোনো চাপ পড়বে না। কারণ কৃষি খাতে দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।’

যাদের টিআইএন আছে তাদের সবাইকে করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যেসব দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদের রাজস্ব বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রামাঞ্চলেও অনেকে ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।’

বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয়, সেই সব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী এই ট্রেড শো শুরু হয়েছে। আগামী ১১ মে পর্যন্ত এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারের ট্রেড শোতে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। ঢাকায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অ্যামচেম ও মার্কিন দূতাবাস।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]