বুধবার ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেটে ফেলা গাছ জোড়া লাগে রাতেই, রক্তবমিতে মারা যান কাঠুরিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

কেটে ফেলা গাছ জোড়া লাগে রাতেই, রক্তবমিতে মারা যান কাঠুরিরা

জঙ্গলে ঘেরা পরিত্যক্ত এক জমিদার বাড়ি। সেই বাড়ির পাশেই রয়েছে দীর্ঘ বছরের পুরনো রহস্যঘেরা এক অচেনা গাছ। সেই গাছটির নাম কারো জানা নেই। ফলে এটি অচিন গাছ নামেই পরিচিত। এই গাছ ঘিরে রয়েছে ভয়ঙ্কর এক গল্প।

প্রায় ২০০ বছর আগে গাছটি কাটাও হয়েছিল। কিন্তু এরপরেই ঘটে রোমহষর্ক এক ঘটনা। ওই রাতেই গাছটি ফের জোড়া লাগে। দাঁড়িয়ে যায় অলৌকিকভাবে। আর একই রাতেই প্রাণ হারান গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত কাঠুরিরা। এখনও গাছটিতে রয়েছে সেই কাটা দাগ।

অচিন ওই গাছটির অবস্থান বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল গ্রামে। গ্রামবাসী ওই গাছটিকে খুবই পবিত্র মনে করেন। এমনকি অনেকের ধারণা গাছটির পাতা রোগ নিরাময় করে। অচিন এই গাছটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো। এমনটাই দাবি গ্রামবাসীর। এ গাছে কোনো ফুল হলেও ফল হয় না। গাছটি অলৌকিকভাবে জন্ম নেয় বলে জনশ্রুতিতে জানা যায়।

আবু সাইদ ও আজিজুর রহমানসহ স্থানীয় অনেক বাসিন্দা জানান, গাছটির নাম কারো জানা নেই। গাছটিকে ঘিরে অনেক গল্প রয়েছে। তারা ছোট থেকেই অচিন গাছের সঙ্গে পরিচিত। তাদের বাপ-দাদারা একইভাবে এই গাছ সম্পর্কে বলেছেন। ওই গাছ একদিন কেটে ফেলা হয়। কিন্তু পরদিনই গাছটি আবারো আগের অবস্থানে চলে গিয়ে সোজাভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

আবু সাইদ বলেন, ৭-৮ জন মিলে অচিন গাছটি কেটে ফেলেছিলেন। তারা সবাই এক রাতেই মারা যান। রক্তবমিতে তাদের তাদের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে গাছটি কেটে ফেলার সাহস কেউ দেখাননি।

তিনি আরো বলেন, অচিন গাছটি এক নজর দেখতে সারাদেশ থেকে লোকজন আসেন। এছাড়াও অনেকে এই গাছের পাতা নিয়ে যান। তাদের ধারণা গাছের পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করলে বা এর রস খেলে জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আবু সাইদ বলেন, এখানকার জমিদার ছিলেন তোরাব আলী চৌধুরী। জমিদার বাড়ির পাশেই অচিন গাছের অবস্থান। জমিদারের জায়গার ওপরই অচিন গাছ।

কাহালু উপজেলার মুরইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ওই গাছটির নাম আজও জানা যায়নি। অচিন গাছ নামেই এটি পরিচিত। গাছটিকে ঘিরে জনশ্রুতিতে যে গল্পটা আছে তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এসব কেউ দেখেছেন এমন লোক নেই বা পাওয়া যায়নি। তবে গাছটিতে আজও কাটা দাগ রয়েছে। তা সবাই দেখেছেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:২১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]