বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যায় ডুবে যাওয়া টানেল থেকে ১৩ মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যায় ডুবে যাওয়া টানেল থেকে ১৩ মরদেহ উদ্ধার

দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। মধ্যাঞ্চলীয় শহর চেওংজুর তলিয়ে যাওয়া একটি টানেল থেকে ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটিতে সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় আরো নয়জন নিখোঁজ এবং ৩৪ জন আহত হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সক ইয়ল কয়েকদিন ধরে চলা প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার রাতে নিকটবর্তী একটি নদীর বাঁধ ভেঙে পড়ার পর হুড়মুড় করে চলে আসা পানিতে চেওংজুর ওই টানেলটি ডুবে যায়, সেখানে তখন যাত্রীবাহী বাসসহ ১৬টি গাড়ি ছিল। এসব গাড়িতে থাকা লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই পানিতে আটকা পড়ে। এত দ্রুত সেটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে যে, গাড়ি চালকরা সরে যাওয়ার সময়ই পাননি।

৬৮৫ মিটার লম্বা ওই টানেলটিতে কতোজন আটকা পড়েছিলেন, দেশটির কর্তৃপক্ষ এখনও তা জানায়নি। এখান থেকে আহত আরও নয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি বাসের ভেতর পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

জুনের শেষের দিকে বর্ষাঋতু সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার পর থেকেই দেশটিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে দেশটির মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে টানা প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বন্যা, ভূমিধস দেখা দেয় এবং বহু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।

সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উত্তর গিয়ংসাংয় পার্বত্য অঞ্চলে, এখানে ভূমিধসে বহু বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।

আগামী বুধবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে দেশটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতি গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় আন্তর্মন্ত্রণালয়গুলোর বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন। তিনি কর্তৃপক্ষগুলোকে হতাহতদের উদ্ধারে সর্বশক্তি নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে বিশেষ দুর্যোগ কবলিত এলাকা ঘোষণার পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

গত ১৫ দিনে অতিবৃষ্টির কারণে ভারত, চীন, জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা যেভাবে বাড়ছে, তাই অতিবৃষ্টি ডেকে আনছে; কারণ পৃথিবী যত উষ্ণ হবে, বায়ুমণ্ডলে তত বেশি জলীয়বাষ্প জমা হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(221 বার পঠিত)
(201 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]