নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভারতের উত্তরাখণ্ডে লন্ডভন্ড অবস্থা দেখা দিয়েছে। তুমুল বৃষ্টি আর অলকানন্দা নদীর ওপর তৈরি বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যটির ১৩টি জেলায়। বেড়েছে গঙ্গার পানি। পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। উপকূলবর্তী শহরগুলোতে পানি ঢুকছে হু হু করে। আগামী পাঁচদিন উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসুম ভবন।
উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে, দেবপ্রয়াগে গঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। হরিদ্বারেও গঙ্গার পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। অতিবৃষ্টি ও ধসের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক ও চামোলি জেলার ছিঁকাও এলাকায় সাত নম্বর জাতীয় সড়ক।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৪২টি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ২৮৪ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও খাবার পনির অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে একটানা বৃষ্টি ও হরপা বানে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি। গত দুই দিন ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় নেমেছে নদীর পানি। এখনও বন্ধ রয়েছে প্রায় ১২০০টির বেশি রাস্তা।
রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জাতীয় সড়কের অন্তত ২৬টি অংশ সম্পূর্ণরূপে ভেসে গেছে নদীর পানিতে। বিধ্বস্ত হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাতে এখনও নেই বিদ্যুৎ ও খাবার পানি।
অন্যদিকে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির দায়ভার নিয়ে আম আদমি পার্টি ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই বন্যাকে ‘স্পনসর্ড ফ্লাড’ এবং ‘ম্যান মেড’ বলে মন্তব্য করছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। তাদের অভিযোগ, বিজেপিশাসিত হরিয়ানা সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর প্রদেশের বদলে দিল্লির দিকে হাতনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার জন্য রাজধানীতে এমন অপ্রত্যাশিত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
Posted ১:৪৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin