বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কনে পক্ষের পাঁচজন বেশ আসায় বৌভাত লণ্ডভণ্ড, ভাঙছে বিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

কনে পক্ষের পাঁচজন বেশ আসায় বৌভাত লণ্ডভণ্ড, ভাঙছে বিয়ে

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের। কনেযাত্রী ৫ জন বেশি যাওয়ার কারণে যে এত বড় গণ্ডগোলের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। মাত্র ৫ জন অতিরিক্ত অতিথি দেখেই মাথা গরম হয়ে গেল বরপক্ষের।

কথা ছিল কনে পক্ষের থেকে ২৫ জন আসবে। কিন্তু পাঁচ জন বেড়ে সংখ্যাটা ৩০ হয়েছিল। অতিরিক্ত ৫ জন অতিথির জন্য খাবারের বদলে কপালে জুটলো কিল-ঘুসি-চড়।

কনেপক্ষের লোকেদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি বরপক্ষের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে স্বয়ং নতুন বৌকেও! আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভর্তি সিউড়ি সদর হাসপাতালে।

কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বৌভাতের (রিসেপশন) দিনে বর-সহ বরপক্ষের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

জানা যায়, দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের মুসলিম মতে বিয়ে হয়। রবিবার বউভাত খেতে শিমুলডিহি থেকে ৩০ জন কনেযাত্রী যায় গুনসিমা গ্রামে। কিন্তু ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তে ৫ জন বেশি অতিথি নিয়ে যাওয়ায় খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে তর্ক শুরু হয়ে যায়। পরে তা হাতাহাতির পর্যায় পৌঁছে যায়। চুলের মুঠো ধরে টানাটানি এমনকি মহিলাদের সম্মানহানি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে বরের বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। কনে যাত্রীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে রুপিও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। একসময় গোটা বৌভাতের অনুষ্ঠান রণক্ষেত্রের চেহারা নয়। এই ঘটনায় কনে যাত্রীর বেশ কয়েকজন সদস্যের হাত ভেঙে যায়।

অনুষ্ঠান বাড়িতে চেঁচামেচি শুনে আশপাশ থেকে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কনে যাত্রীদের উদ্ধার করে দুবরাজপুর মানসায়ের হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আহত ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা অবনতি কারণে তাদের পরবর্তীতে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এই ঘটনায় কোন পক্ষের তরফ থেকে বরপক্ষের নয় জনের বিরুদ্ধে সদাইপুর পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গোটা ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সদ্য বিয়ে হওয়া সুরিয়া খাতুন নিজেই বিচ্ছেদ চেয়েছেন।

সুরিয়া খাতুন বলেন, শনিবার আমার বিয়ে হয়। এরপর রবিবার আমার বাপের বাড়ির লোক আমার শ্বশুর বাড়িতে যায়। কিন্তু সেখানে পাঁচজন বেশি হওয়াতে বরের পক্ষের লোকজন আমাকে বেঁধে রেখেছিল, মারধর করেছিল। আমার বোনকেও বেঁধে রেখেছিল। সবাইকে মারধর করা হয়েছিল।

তার প্রশ্ন, যে ছেলে ও পরিবারের আমার বিয়ে হয়েছে তারাই যদি আমাদের উপর এরকম অত্যাচার করে, আমার ভাই বোনকে মারে তাহলে তাদের সাথে আমি বাকি জীবন কিভাবে থাকবো?

এমনকি নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দেন সুরিয়া। তিনি বলেন, আমি আর এই পরিবারের সাথে ঘর করবো না। আমি ডিভোর্স চাইবো।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(221 বার পঠিত)
(201 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]