নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নূরুন্নবী আশেখী বাবুল নামে এক কৃষক। ভালো ফলনের পাশাপাশি এই আনাসর রসালো মিষ্টি এবং আকারে বেশ বড়। এতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্থানীয় আনাসর।
আনারস চাষে সফলতায় দিনাজপুরের কৃষিতে যুক্ত হলো নতুন মাত্রা। এই অঞ্চলে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষে বাজিমাত করেছেন কৃষক ফুলবাড়ী উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের নূরুন্নবী আশেখী বাবুল।
কৃষক বাবুল জানান, টাঙ্গাইলের মধুপুরের এক বন্ধুর বাসায় ঘুরতে গিয়ে আনারস চাষ দেখেন। এতে তারাও আনারস চাষে আগ্রহ তৈরি হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে মধুপুর থেকে চারা এনে সাড়ে চার বিঘা জমিতে প্রায় ২৩ হাজার ক্যালেঙ্গা জাতের আনারসের চারা রোপণ করেন বাবুল। এ পর্যন্ত তার প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আনারসের ফলন হয়েছে বেশ ভালো। খরচ বাদ দিয়ে আনারস বেচে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
বাবুল আরো জানান, একইসঙ্গে প্রতিটি আনারসে চার থেকে পাঁচটি চারা বের হয়েছে। সেই চারা বিক্রি করেও তিনি বাড়তি আয় করতে পারবেন। আনারস চাষে কোনো কীটনাশকের খরচ নেই। সেচ ছাড়াই শুধু আগাছা পরিষ্কার এবং জৈবিক উপায়ে এ ফল উৎপাদন করেছেন বাবুল। এরইমধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন আনারস।
চারা রোপণের ১৮ মাস পর থেকেই ক্যালেঙ্গা জাতের আনারস সংগ্রহ করা যায়। এ জাতের প্রতিটি আনারসের ওজন হয় চার থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়।
স্থানীয় অনেক কৃষকই বাবুলের আনারস চাষের খবর শুনে দেখতে আসছেন। তার কাছ থেকে নিচ্ছেন পরামর্শ।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার জানান, আনারস চাষের মধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষিতে নতুন সংযোজন হলো। কৃষক নূরন্নবী আশেখী বাবুলকে সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হবে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে। তবে যারা আনারস চাষ করবেন তাদের অবশ্যই মাটি পরীক্ষা করতে হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী চাষ করতে হবে।
Posted ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin