শুক্রবার ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনকে বড় ছাড় দিলেই ফিলিস্তি-ইসরায়েল চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব বন্ধসহ রিয়াদের নানা শর্তে আটকে যেতে পারে সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং একটি চুক্তি হতে পারে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার আভাস দিলেও রিয়াদের পক্ষ থেকে এখনও কিছুই স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

অবশ্য এরই মধ্যে এই চুক্তি বাস্তবে রূপ দিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে জেদ্দায় পাঠিয়েছেন বাইডেন। সেখানে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শুধু বাইডেন নন, এই চুক্তি করতে উদগ্রীব ইসরায়েলও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চুক্তি হলে তা গোটা আরব বিশ্বকে বদলে দেবে এবং এর মাধ্যমে দমানো যাবে ইরানকেও।

তবে এই চুক্তির আগে ইসরায়েলের ওপর কিছু শর্ত দিতে পারে রিয়াদ। এর মধ্যে রয়েছে– ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব বন্ধ, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না করাসহ বেশ কিছু বিষয়। এসব শর্তে ইসরায়েলের কট্টরপন্থি সরকার সম্মত নাও হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

বাইডেনের সর্বশেষ এই মন্তব্য অবশ্য গত এক মাস আগে তাঁরই দেওয়া বক্তব্যের পুরো উল্টো। ৯ জুলাই সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, সম্পর্কের স্বাভাবিককরণ চুক্তি থেকে এখনও অনেক দূরে সৌদিআরব ও ইসরায়েল। অবশ্য সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য গত বৃহস্পতিবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রদূত ব্রেট ম্যাকগার্ককে জেদ্দায় পাঠান বাইডেন।

এর আগে গত জুনে একই ইস্যুতে সৌদি আরব সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সে সময় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছিলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য শান্তি বের না করে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণে খুব একটা লাভ হবে না।

নেতানিয়াহু গত শুক্রবার ফক্স নিউজে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সৌদি আরব চাইলে এই চুক্তি খুব দ্রুতই হতে পারে। এতে দুই দেশেরই ব্যাপক অর্থনৈতিক সুবিধা হবে। এটি ইরানের জন্য একটি বড় আঘাত। শুধু তাই নয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব বিশ্বের জন্যও একটি আশীর্বাদ হবে।’ তবে এই চুক্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় ধরনের ছাড় দিতে হবে ইসরায়েলকে। তবে তাতে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থি জোটের অনুমোদন দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাইডেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে পরিচিত টম ফ্রিডম্যান গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমসের একটি কলামে লিখেছেন, এই ছাড়ের মধ্যে ইসরায়েলের একটি সরকারি প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এতে উল্লেখ থাকবে, কখনোই পশ্চিম তীরকে ইসরায়েল নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করবে না। এ ছাড়া আর কোনো বসতি স্থাপন কিংবা এখন যে সীমানা রয়েছে, তা আর প্রসারিত করবে না। কোনো অবৈধ ফাঁড়ি বৈধ না করার প্রতিশ্রুতি এবং পশ্চিম তীরের এলাকা সি’র কিছু ফিলিস্তিনের জনবহুল অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া, যা এখন অসলো চুক্তির অধীনে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(230 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]