এক উপজেলার বিদ্যালয় অন্য উপজেলায় স্থানান্তরে সম্মতি না দেওয়াসহ সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়টির অন্য উপজেলায় স্থানান্তরে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবু হোসেন মোল্লাকে। চিলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছালেহ সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৮ আগস্ট শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছালেহ সরকারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অবসরে গেছেন উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা ইনসাব আলী। এ কারণে বিদ্যালয়ের দায়িত্বভার সহকারী শিক্ষক জুলেখা খাতুনকে (ইয়াসমিন) দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর দায়িত্বে অবহেলা, বিদ্যালয় পরিচালনার জ্ঞান কম থাকায় সার্বিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জুলেখা খাতুনের পরিবর্তে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আবু হোসেন মোল্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে যায় চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। পরে উত্তর খাউরিয়ার চরে অন্যের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলেখা ইয়াসমিন ও সহকারী শিক্ষক এম এইচ এ হাসান মাহমুদ। তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে ১২ আগস্ট রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের চর খেদাইমারী এলাকায় একটি ঘর তুলে একই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেন সহকারী শিক্ষক আবু হোসেন মোল্লা, লায়লা খাতুন ও মোবারক হোসেন। এ নিয়ে ২০ আগস্ট বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহফুজা আক্তার ও ২২ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলেখা ইয়াসমিন কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলেখা ইয়াসমিন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছালেহ সরকার। পরে ২৮ আগস্ট জুলেখা ইয়াসমিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহফুজা আক্তারের দাবি, জুলেখা ইয়াসমিন নিষ্ঠার সঙ্গেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ জুনিয়র সহকারী শিক্ষক আবু হোসেন মোল্লাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছালেহ সরকার।

সহকারী শিক্ষক আবু হোসেন মোল্লা বলেন, ‘২৯ আগস্ট আমি চিঠি পেয়েছি। আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।’