শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন-চার দিনের মধ্যেই দেশে আসবে আমদানির ডিম: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট

তিন-চার দিনের মধ্যেই দেশে আসবে আমদানির ডিম: বাণিজ্যমন্ত্রী

আগামী তিন-চারদিনের মধ্যেই আমদানিকৃত ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডি লেক (ডিঙ্গি) সংলগ্ন ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক দেশব্যাপী অক্টোবর মাসের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো রফতানিকারক দেশের সরকারকে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কিনা অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরো ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার টিসিবির মাধ্যমে দেশের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে। তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি জুলাই থেকে চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো, যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা গরীব-দুখী, অসহায় মানুষের যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা জানি, বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানিকৃত পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এক কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি। এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেরও অংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]