শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ উদারমনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট

বাংলাদেশ উদারমনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ উদারমনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এভাবেই আমরা সব ধর্মের উৎসব পালন করছি। বর্তমানে সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

রোববার শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীর দিনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

সারাবিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এই পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হোক। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী হিন্দুদের পাশে থাকবেন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য সবাই সতর্ক থাকবে।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই সময় আওয়ামী লীগ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আবার ’৯২-এর পর, ২০০১ সালে এবং এরপরও যতবার হিন্দুদের ওপর আঘাত এসেছে, ততবার আমরা পাশে ছিলাম। আগামীতেও আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই একহয়ে যুদ্ধ করেছে। আমরা সবাই এই মাটির সন্তান। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে বসবাস করবো। এখানে সবারই সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যেন বলবৎ ও সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সবসময় সে চেষ্টাই করি। সব ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। ইসলামেও সবাইকে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। কাজেই কেউ কারো ওপর হস্তক্ষেপ করবেন না।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা আমাদের যে সংবিধান দিয়েছেন সেখানেই সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। ’৭৫ এ জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস করে দেয়। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে দেয়। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতিটি ধর্মের উৎসব সবাই মিলেই উদযাপন করে। এটাই বাংলাদেশের সৌন্দর্য্য। আজ সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারছে। অথচ খালেদা জিয়া ও এরশাদের আমলে মন্দিরে গিয়ে পূজা করার পরিস্থিতিও ছিল না। বিনাকারণে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালানো হতো। তখন আওয়ামী লীগ এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের কোথাও হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মের মানুশ নির্যাতনের শিকার হয়নি। এছাড়া আওয়ামী লীগ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সারাদেশের জনগণের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এজন্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক, সেই কামনা করি। এজন্য সব ধর্মের মানুষকে এক হয়ে মাতৃভূমির জন্য কাজ করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:২০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]