নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
বরগুনার পাথরঘাটায় মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা না পেয়ে মাদরাসাছাত্র হাসিবুল ইসলাম হাসিবকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় অপহরণকারী সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইনচটকি বিষখালী নদী সংলগ্ন স্লুইজ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে অপহরণ করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী।
নিহত হাসিব পাথরঘাটার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। এ বিষয়ে হাসিবের বাবা শফিকুল ইসলাম পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গহরপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে তানভির ওরফে শিশু ফকির, তার সম্বন্ধী ইউনুসের ছেলে আ. রহিম মুন্সি, শ্বশুর মো. ইউনুস, ফুফাত ভাই সৈয়দ আলী মাঝির ছেলে মো. জসিম, ইউনুসের মেয়ে তানজিলা, তাহিরা , শাশুড়ি রহিমা ও ইজিবাইকের চালক আব্দুর রহিম কাজি।
পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক আলী হোসেন বলেন, অপহরণের পর থেকেই আমাদের অনুসন্ধান অব্যহত ছিল। অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় বিলম্ব হয়। সবশেষ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষখালী নদী সংলগ্ন কাকচিড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইনচটকি স্লুইজ এলাকা থেকে মাটির ভেতরে ড্রামভর্তি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সাতজনের একটি সংঘবদ্ধ দল ছিল। তিন লাখ টাকার জন্য হাসিবকে অপহরণ করা হয়। অপহরণ করে প্রথমে পাথরঘাটা পৌর শহরের ঈমান আলী সড়কের একটি বাসায় নির্যাতন করে এবং ওই নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ওই বাসায় বসেই হাসিবকে হত্যা করে ডামে ভরে ইজিবাইকে করে দক্ষিণ বাইনচটকি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে মাটিতে পুঁতে রাখা হয় হাসিবের মরদেহ।
পাথরঘাটা থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর পিছনে আরো কোনো রহস্য আছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
Posted ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin