বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজায় কম দামে মাংস বিক্রি করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

রোজায় কম দামে মাংস বিক্রি করবে সরকার

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, রমজান উপলক্ষে ১০ মার্চ থেকে ঈদ পর্যন্ত রাজধানীর ত্রিশটি স্থানে গরুর মাংস ৬০০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করা হবে।

সোমবার (০৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, ড্রেসিং করা মুরগীর (ব্রয়লার) মাংসের কেজি ২৮০ টাকা। ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা করে ট্রাকে বিক্রি করবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ ও মাংস বিক্রি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে এটা করা হবে। এতে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে ৬০০ টাকায়, খাসির মাংস ৯০০ টাকা। আর সলিড ব্রয়লার বিক্রি হবে ২৮০ টাকায়। তারপর ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। কাজেই এটাই হলো, আমাদের একটি অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা। আাগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে।

এটি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্রাকে করে এ পণ্য বিক্রি চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ আছে যে, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

 

এটা কী সারা দেশে করা হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকায় ত্রিশটি জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করবো।

ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝাটকা ধরার জায়গা থেকে, মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মাছটি নদীতে থাকতে পারবে, ততই এর বৃদ্ধি ঘটবে।

মন্ত্রী জানান, মাছ উৎপাদন নিয়ে প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষে আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে, কারেন্টের জাল ব্যবহার। এটা দিয়ে যত্রযত্র মাছ ধরা হয়। যে মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি। মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলাপ্রশাসকদের নেতৃত্ব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।

তিনি বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে, কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হচ্ছে। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে, তাদেরকে রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। কারণ ওই সময়টায় তাদের যদি একটা প্রণোদনা দেয়া হয়, তাহলে মাছ না ধরার কারণে, তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]