নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
মৃত্যুর ১২ দিন পর অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টি খাতুনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বড় চাচা ফারুক শেখের পাশে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সোমবার রাত ৮টা ১২ মিনিটে লাশবাহী গাড়িটি কুষ্টিয়ার খোকসার বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
এদিকে বৃষ্টির লাশ বাড়িতে আসছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ সন্ধ্যার পর থেকেই বৃষ্টির বাড়িতে এসে ভিড় জমাতে থাকে।
লাশবাহী গাড়িটি আসার পর বৃষ্টির মা বোন এবং স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় ওই এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। অনেক এলাকাবাসীর চোখের পানি চলে আসে। তবে বৃষ্টির লাশ নিয়ে নানান নাটকীয়তার কারণে স্থানীয় ব্যক্তি এবং বৃষ্টির স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে বৃষ্টির লাশ গোসল সম্পন্ন করা হয়। রাত ১০ টার দিকে তার জানাজা শেষে খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিম পাড়া এলাকার পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি বেগম জানান, আমার মেয়ে বাড়ি আসলো কিন্তু লাশ হয়ে আসলো। আপনারা আমার মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহতালা ওকে যেন বেহেস্তবাসী করেন।
নিহত বৃষ্টি খাতুনের মেঝো বোন ঝর্না খাতুন বলেন, আপার নাম বৃষ্টি খাতুন সে বৃষ্টি খাতুনই আছে। আমরা তাকে বৃষ্টি খাতুন বলে চিনি। আপনারা এটাকে অন্যভাবে নেবেন না। আমার বোনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত গণমাধ্যমকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় শনাক্ত হয়। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে তার বাবা সবুজ শেখ এবং মা বিউটি খাতুন। পরে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের লাশ সোমবার দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। তবে তার বন্ধু সহকর্মীরা জানতেন তার নাম অভিশ্রুতি। মৃত্যুর পর এই নাম নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়। তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছিল।
Posted ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin