বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ নিয়ে যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ নিয়ে যা জানা গেল

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং। জাহাজটির ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এদিকে জিম্মিদের স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা, টেলিফোনে জানিয়েছেন এক নাবিক।

বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয় গত ৪ মার্চ। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশি জাহাজভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশি জাহাজ
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।

জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এস আর শিপিং। এজন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

এস আর শিপিংয়ের মিজানুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ পরিচালনা করছি। তারা আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।

জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দেশের শিপিং সেক্টরে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, সোমালিয়ার যে জলদস্যুরা জাহাজটিকে আক্রমণ করেছে এটি অত্যন্ত অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা। এতে আমাদের দেশের যারা জাহাজ ব্যবসায়ী আছেন তারা আতঙ্কিত। ভবিষ্যতে এই সব রুটে জাহাজ পাঠানোর বিষয়ে হয়ত তাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল জাহাজ মণি নামের একই প্রতিষ্ঠানের আরেক জাহাজ। সেসময় ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। একশ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]