নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক উষ্ণ হয়ে পরিপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, রাশিয়া ও ইরান যৌথভাবে প্রাণঘাতী ড্রোন উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করছে, এমন বিবরণ ওয়াশিংটন দেখেছে।
অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের জন্য তিনজন ইরানি এবং একজন ইরানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে ইরানি ড্রোন রাশিয়া ব্যবহার করছে বলে সম্প্রতি কিয়েভ অভিযোগ করার পর দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টি সামনে এসেছে।
রাশিয়াকে কোনো ড্রোন পাঠানোর কথা ইরান প্রথমে অস্বীকার করেছিল। পরে দেশটি স্বীকার করে যে, ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই তারা কিছু ড্রোন রাশিয়ায় পাঠিয়েছিল।
জন কিরবি বলেছেন, ড্রোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইরান ও রাশিয়ার অংশীদারিত্ব ইউক্রেন, ইরানের প্রতিবেশী দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অস্ত্র উৎপাদন, প্রশিক্ষণের মতো ক্ষেত্রগুলোতে রাশিয়া ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাইছে।
তিনি আরো বলেন, ইরানকে হেলিকপ্টার, আকাশ প্রতিরক্ষা পদ্ধতিসহ ‘অত্যাধুনিক সামরিক উপকরণ সরবরাহ’ করতে পারে রাশিয়া। ইরান রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক অংশীদার হয়ে উঠেছে। লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে বিদ্যুৎ, তাপসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত করার জন্য রাশিয়া ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে। ইউক্রেনের লোকজন এখন প্রকৃতপক্ষে মারা যাচ্ছে ইরানের পদক্ষেপের ফলে।
জন কিরবির মন্তব্যে সাড়া দিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, রাশিয়ার অন্যতম প্রধান সামরিক অংশীদার হয়ে উঠেছে ইরান। তাদের এ সম্পর্ক বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ওই দুই দেশের মধ্যে হওয়া নীতিহীন চুক্তির মাধ্যমে ইরান রাশিয়ায় কয়েকশ ড্রোন পাঠিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি।
Posted ১:২৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin