নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট
খুলনা নগরীর দৌলতপুরে ব্যবসায়ী শেখ হুমায়ুন কবীরকে হত্যার অভিযোগে নিহতের ছোট মেয়েকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে, এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন তার স্ত্রী ফারজানা আফরিন। মামলায় নিহতের ছোট মেয়েসহ (১৬) অজ্ঞাত তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে ওই কিশোরী মৌখিক স্বীকারোক্তি দেয়। সে পুলিশকে জানায়, রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে এবং পরবর্তীতে বালিশচাপা দিয়ে বাবা শেখ হুমায়ুন কবিরকে (৫২) হত্যা করেছে সে। এর আগে, গত ৪ জুলাই ভোরে মারা যান নগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানা উত্তপাড়ার বাসিন্দা শেখ হুমায়ুন কবীর।
মামলার এজাহারে নিহতের স্ত্রী উল্লেখ করেন, গত ৩ জুলাই রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে আমার স্বামী মারা যান। তারে হাতে দুটি ছিদ্র ছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা সাপের কামড়ে তিনি মারা গেছেন, এমন ধারণায় স্বাভাবিকভাবেই তার দাফন সম্পন্ন হয়। স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর আমার ছোট মেয়ে আমাকে ও আমার মেঝো মেয়েকে স্বেচ্ছায় জানায়, সে রাতের খাবার ও খাওয়ার পানির মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিল এবং রাতে বালিশ চাপা দিয়ে তার বাবাকে হত্যা করেছে। কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, তার বাবা তাকে শাসন করতো বিধায় রাগের বশে তার বাবাকে মেরে ফেলেছে।
স্বামীর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মামলার এজাহারে আবেদন জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর থানার দেয়ানার বাসিন্দা শেখ হুমায়ুন কবীরের তিন মেয়ে। বিয়ের পর বড় মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দেয়ানার বাড়িতে থাকতেন হুমায়ুন কবীর। থানায় আত্মসমর্পণ করা কিশোরী তার ছোট মেয়ে। চলতি বছর এসএসসি পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
দৌলতপুর থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, গত শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে থানায় এসে মেয়েটি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Posted ২:০৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin