নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলায় ৪টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে। ২০২৬ থেকে ২৮ সালের মধ্যে আরো ১৪টি কূপ খননসহ চার বছরের মধ্যে মোট ১৮টি কূপ খনন করা হবে। সবগুলো হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। যার কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পাবো তাকেই দেবো।
শুক্রবার ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভোলায় বাণিজ্যিক গ্যাস চালু আছে। বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি সারা দেশব্যাপী সিদ্ধান্ত হবে। কেউ যদি গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা দিয়েও গ্যাস সংযোগ না পেয়ে থাকেন তাহলে তার টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিদেশ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আনি। পরবর্তীতে ভোলায় যদি আরো বড় গ্যাসের হদিস পাওয়া যায় তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। এলএনজি আমদানির জন্য আমাদের আর ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে না।
ভোলায় গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যানকে ভোলায় এসে দেখে যেতে বলবো। এখানে যদি যদি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে সেটি ভোলাবাসীর জন্য ভালো বিষয় হবে। লোকজন চাকরি পাবে। নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।
ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাসের পরিপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাসকে কীভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেটি নিয়ে আমরাও কাজ করছি। ভোলায় আরো কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট করার বিষয়টি আমরা চিন্তা করছি।
এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, বাপেক্সের পরিচালক, উভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১০:২১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin