সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা যাচাই করবে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা যাচাই করবে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সাফল্য বা ব্যর্থতা যাচাই করবে দেশের জনগণ। সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। তবু কোনো ব্যর্থতা থাকলে জনগণ খুঁজে বের করুক, তা সংশোধন করে নেব।

বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজনৈতিক জীবনের ইতিবৃত্ত তুলে ধরে ও ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলাম। চারণের বেশে সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশকে চিনেছি, জেনেছি। সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ যেন ভালো থাকে সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই কাজ করেছি। তার সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন সেটা আমরা যারা বয়োবৃদ্ধ আছি, তারা জানি। কিন্তু আজকের প্রজন্ম জানবে না। সততা নিয়ে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণে কি করতে হবে- সেটা বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হবো কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই বের করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ’৭৫ পরবর্তী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সবাই ইতিহাস বিকৃত করেছে। ইতিহাসও তাদের বিচার করে দিয়েছে। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে তাদের চরিত্র মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। যারা সত্যকে ঢাকতে চেয়েছিল তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে চলে গেছে। সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। সত্যের ইতিহাস আর কেউ বিকৃত করতে পারবে না।

সরকার প্রধান বলেন, ’৭৫ এর পর এমন একটা সময় গেছে যখন মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে সেটা বলতেও ভীতসন্তস্ত্র ছিল। তখন একে একে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা হয়, চাকুরিচ্যূত করা হয়, অপমানিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরও চাকরি দেওয়া হতো না। সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে এরই মধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যেন সঠিক তালিকায় স্থান পান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু, সেখানে টেকনিক্যাল লোক পাওয়া কঠিন। অনেকেই বিদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে কাজ দেওয়া হয়। সরকার টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে যেন দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি হয়। তাদের চাকরির অভাব নেই। পাস করার সঙ্গে সঙ্গে তারা তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় চাকরি পায়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]