নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের বর্তমানে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজার ১০৫ জন। এখনো অনেক লোক ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ পর্যন্ত তুরস্কে নিহত হয়েছেন ২৯ হাজার ৬০৫ জন এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৫০০ জন।
বিধ্বস্ত শহরগুলোতে বহু মানুষ এখনও আশ্রয়হীন। তাদের কাছে নিরাপদ খাবার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, এই পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া আরো অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তাদের অনুমান, তুরস্ক এবং সিরিয়াজুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।
দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন, কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।
ইস্তাম্বুলের একজন তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোলু বলেছেন, ‘লোকেরা এখনও (ধসে পড়া) ভবনের নিচে রয়েছে, তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।’
তিনি বিবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আটকে পড়া লোকজন তাকে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের ভিডিও, ভয়েস নোট এবং তাদের লাইভ অবস্থান পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের বলছে যে তারা কোথায় আছে এবং আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না।’ তুরস্কের জন্য এখন সমস্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
সোমবার ভোররাতে গাজিয়ান্তেপের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় প্রায় বেলা দেড়টার দিকে আরো একটি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন যে এটি ‘আফটারশক’ ছিল না। সোমবার পর পর দুটি ভূমিকম্পের পর তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে পর পর কয়েকটি শক্তিশালী আফটারশক ও কম্পন আঘাত হেনেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আফাড তার সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, ২৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি জরুরি কর্মীকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শঙ্কা হচ্ছে, এই শীত মৌসুমে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেলে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
জাতিসংঘ, ইইউ, ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের সরকার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি ও আলজাজিরা।
Posted ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin