শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী চিকিৎসককে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ, ছাপ রয়েছে গাল-মুখ-কপালে

নিপা বেগম:   |   বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

নারী চিকিৎসককে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ, ছাপ রয়েছে গাল-মুখ-কপালে

রাজধানীর বেরিবাঁধ সড়কে রাতে রাস্তা থেকে চিকিৎসক দাবি করা এক নারীকে প্রাইভেটকারে তুলে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- নাজমুল ও হাসান।

মঙ্গলবার রাতে লালবাগ বেড়িবাঁধ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে নিজেকে রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক দাবি করে তাকে নির্যাতনের বর্ণনা দিতে দেখা গেছে।

ঐ নারীর দাবি— মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কর্মস্থল থেকে লালবাগের বাসায় ফেরার পথে পূর্বপরিচিত ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে তার গাল, কপাল, গলা ও বাঁ হাতের বাহুতে জখম করেন।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে রিকশায় নিজের লালবাগের বাসায় ফিরছিলাম। সঙ্গে আমার ছোট ভাইও ছিল। এ সময় একটি প্রাইভেটকার এসে রিকশার গতি রোধ করা হয়। প্রাইভেটকার থেকে নাজমুল ও আকাশ বের হয়ে আমাকে রিকশা থেকে টেনে নামায়। তখন গাড়ির ভেতরে ছিলেন হাসান ও মশিউর নামে আরো ব্যক্তি। তারা আমাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলেন। এ সময় আমার ছোট ভাই বাধা দিলে এলে তাকে রিকশা থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয় তারা। তখন সে চিৎকার করলেও আশপাশে কেউ ছিল না।

ঐ নারী বলেন, মশিউর গাড়ি চালাচ্ছিলেন, রাস্তাও অন্ধকার ছিল। তারা মারধর ও শ্লীলতাহানি করে আমার। একপর্যায়ে আমি গাড়ির দরজা খুলতে সক্ষম হই এবং পড়ে যাই। এ সময় লালবাগ থানার পাশের রিকশার গ্যারেজ থেকে লোকজন ছুটে এসে আমাকে টেনে তোলেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই।

ঐ নারী চিকিৎসক ভিডিওতে আরো বলেন, মূলত আমার ওপর ওদের জেলাসি ছিল। কারণ, আমি আমার কাজিনের ব্যবসা দেখাশোনা করতাম। হাসান ঐ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিল। একজন ড্রাইভারের একের পর এক চুরির ঘটনা আমি ধরিয়ে দিই। এসব ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একের পর এক চুরির মামলা হয়েছিল। আমি ঐ মামলার সাক্ষী ছিলাম।

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মোরশেদ বলেন, ঐ নারী নিজেকে লালবাগের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছেন। সেখানে যোগাযোগ করে জানা যায়, এই নামে তাদের কোনো চিকিৎসক নেই।

ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার জের ও সাজানো ধারণা করে তিনি বলেন, তবুও এ ঘটনায় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে ৪ আসামি নাজমুল, হাসান, আকাশ ও মশিউরের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। বুধবার অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]