বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেলেকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, মা মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বাঁচলো ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

ছেলেকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, মা মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বাঁচলো ছেলে

দেড় বছরের ছেলে জাহিদকে কোলে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা নাজমা বেগম। মুহূর্তেই শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে প্রাণ হারান নাজমা। দুর্ঘটনা দেখে ছুটে যান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে যান নাজমার মা-বাবাও।

ঘটনাস্থলে নাজমার ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকলেও কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তার শিশু সন্তান জাহিদকে। লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশও। চারদিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানা যায়- আশরাফুল আলম নামে একজন শিশু জাহিদকে রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপরই সবাই ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানে সন্ধান মেলে জাহিদের। ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মা মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশুটি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি মাজহারুল করিম বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসছিল মহানগর প্রভাতী। মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ অতিক্রম করার সময় দেড় বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে চলন্ত ট্রেনটির নিচে ঝাঁপ দেন নাজমা বেগম। তিনি জোরারগঞ্জের জয়নগর গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে। তার স্বামীর নাম অপু মিয়া। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।

ওসি বলেন, মা মারা গেলেও আল্লাহর অশেষ রহমতে শিশুটি বেঁচে গেছে। রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে একজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। বর্তমানে শিশুটিকে আমরা নানা-নানির কোলে তুলে দিয়েছি। তার মাথায় সামান্য আঘাত ছিল। নাজমা বেগমের লাশ ময়নাতদন্ত করে অপমৃত্যুর মামলার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের কর্মী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন নাজমা বেগম। পরে রেলওয়ে পুলিশ রেললাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু ঐ সময় শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। না পেয়ে রেলওয়ে থানার ওসিসহ স্থানীয়রা আশপাশের এলাকায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে একজন এসে জানান- আশরাফুল আলম নামে একজন শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ওসি আশরাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর কিছুক্ষণ পর আশরাফুল আলম শিশুটিকে কোলে নিয়ে আসেন।

আশরাফুল আলম জানান, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার পর মায়ের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলেও দুই রেললাইনের মাঝখানে পড়ে থাকে শিশুটি। ট্রেন তার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে সে সামান্য আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:১৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]