নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
রোজার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। বিপুল সওয়াব এবং অনুকম্পায় সমৃদ্ধশালী করে নিজেকে। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ফজরের আগে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজা শুরু করতে হয়। আর সমাপ্তি ঘটে সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে।
সেহরি এবং ইফতারে রয়েছে নিয়ত। রোজার নিয়তও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠা এবং সেহরি খাওয়াও রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। মূলত মনের ইচ্ছাই হলো- নিয়ত। এটি মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজা আদায় হয়ে যাবে। (সূত্র : আল-বাহরুর রায়েক : ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ : ১/১৭৬; রাদ্দুল মুহতার : ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫)
রোজার প্রচলিত নিয়ত
রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ- যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকেন। এটি অবশ্য হাদিস এবং ফিকাহের কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ চাইলে এটি পড়তে পারেন।
আরবি নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
বাংলা উচ্চারণ: ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের আপনার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব আপনি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
নিয়ত সম্পর্কিত কিছু কথা
জেনে রাখা উচিত যে, নিয়ত পড়ার চেয়ে নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে ফাতাওয়ায়ে শামিতে এসেছে, ‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’। মনের দৃঢ় সংকল্পকেই আজম বলা হয়।
তবে রোজা রাখার জন্য নিয়ত ফরজ- এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না। অনেকে রোজার নিয়ত মুখে বলা বা মনের সংকল্প কোনোটিই করেন না। মুখে রোজার প্রচলিত নিয়তের শব্দগুলো উচ্চারণ করার পরও যদি অন্তরে রোজা রাখার দৃঢ় সংকল্প না থাকে, তবে তা নিয়ত হবে না। এজন্য রোজা রাখার বিষয়টি অন্তরের দৃঢ় সংকল্পে থাকতে হবে।
Posted ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin