নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১২ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফখরুল ইসলাম বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজীবন দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টবাদী। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে স্বল্প মূল্যে চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী উন্নয়ন এবং সমাজ সংস্কারে ও বিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব সংকটে তিনি এগিয়ে এসেছেন অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে বলিষ্ঠ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জিয়াউর রহমান তাকে প্রথম স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন।’
‘তার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি,’ বলেন ফখরুল।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ডা. জাফরুল্লাহ মারা যান। এ তথ্য নিশ্চিত করেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী।
গত ৫ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. জাফরুল্লাহ। পরে তাকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
মেডিকেল বোর্ডে কিডনি, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসক ছিলেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
৮২ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। করোনার পর কিডনি সমস্যার পাশাপাশি তার লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া তিনি অপুষ্টিসহ গুরুতর সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।
Posted ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin