বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা অষ্টম দিনে বাড়ল সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট

টানা অষ্টম দিনে বাড়ল সূচক

শেয়ারবাজার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। টানা অষ্টম দিনে গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ২ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে উঠেছে ৬২৬৬ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে।

গত ১২ এপ্রিল থেকে গতকাল পর্যন্ত সূচক বেড়েছে প্রায় ৭০ পয়েন্ট। এর আগে টানা আট দিন সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল প্রায় দুই বছর আগে। ২০২১ সালের ৪ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সূচক বেড়েছিল ৩২৮ পয়েন্ট।

শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, একনাগাড়ে আট দিন সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকা বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারার সঙ্গে লেনদেন বাড়াও কিছু বিনিয়োগকারীকে নতুন করে বিনিয়োগে সক্রিয় করতে আগ্রহী করছে।

 

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের সিইও সাফফাত রেজা বলেন, টানা মন্দার মধ্যে থাকার কারণে কিছু শেয়ারের দাম মৌলভিত্তির তুলনায় বেশ কম দামে নেমেছে। যাঁদের কাছে বিনিয়োগ করার মতো টাকা রয়েছে, তাঁরা এখন সক্রিয় হচ্ছেন। তাঁদের বিনিয়োগে শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়ায় যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁরাও শেয়ার বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। বিক্রি করা টাকায় নতুন কোনো শেয়ার কিনছেন। এভাবে বাজারে কিছুটা গতি এসেছে।

একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, প্রায়ই অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম জেনে কিছু বড় বিনিয়োগকারী ও জুয়াড়ি চক্র নিজেরা বিনিয়োগ করে শেয়ারদর বাড়ায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দ্রুত মুনাফার লোভে হঠাৎ দর বাড়তে থাকা শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। এতে এসব শেয়ারের লেনদেনও বাড়ে। এতে করে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি দেখেও অনেকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হন। বর্তমানে টানা সূচক বৃদ্ধিতে এ ধরনের প্রবণতার সংযোগ থাকতে পারে। তাঁরা জানান, তালিকাভুক্ত সিংহভাগ শেয়ার এখনও ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় অধিকাংশ বিনিয়োগকারী সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। আড়াইশর বেশি শেয়ার এখনও ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে এবং এসব শেয়ারের সিংহভাগের কোনো ক্রেতা নেই। অবশ্য গত কয়েক দিনে কিছু শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে বের হয়ে এসেছে। ফলে কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীরা নতুন করে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

সূচক বাড়লেও গতকাল ডিএসইতে দর বৃদ্ধি পাওয়া শেয়ারের তুলনায় দর হারানো শেয়ারই বেশি ছিল। লেনদেন হওয়া ৩৪৮ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৬৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২১২টির দর। ক্রেতার অভাবে ৪৪ কোম্পানি ও ফান্ডের কোনো কেনাবেচা হয়নি। গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে ৭৬৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৫২ কোটি টাকা বেশি। এ লেনদেন গত ১৮ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। ওই দিন এ বাজারে ৯৩৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।

গতকাল তিন কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। এগুলো হলো– এপেক্স ফুড, এমারেল্ড অয়েল ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। পৌনে ৯ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে এ তিন শেয়ারের।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:২০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]