নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যাংক টাকা বুঝে পেয়েছে। ব্যাংককে এখানে ডাকা হয়েছে। তারা লিখিতভাবে সাক্ষীও দিয়েছে। কিন্তু সেটা আমলে নেয়া হয়নি। ‘এটা আমার মনে হয় আইনের বরখেলাপ। এতে আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।’
রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় বঙ্গতাজ মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঋণখেলাপির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ডেকেছেন। ব্যাংক লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দি দিয়েছে। আপনারা এখানে আইনের দৃষ্টিতে ও নির্বাচনটা নিরপেক্ষ করতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা নিরপেক্ষতার প্রমাণ হয় না।’
তিনি বলেন, যেহেতু আপিল ডিভিশনের রায়ে আছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মানে যিনি পাওনাদার টাকা পেয়েছে; তারপর আপনারা যে কাজটি করলেন এটা পক্ষপাতিত্ব হলো। আমি আপনাদের সামনে বলে গেলাম; এটা আপনারা পক্ষপাতিত্ব করলেন। আপনারা নির্বাচনে নিরপেক্ষতার মধ্যে ছিলেন না, এখন নেইও।’
জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘গত ১১ ও ১৮ এপ্রিল কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের যে পাওনা ছিল তা পরিশোধ করেছে। সেসব ডকুমেন্ট আমার আইনজীবী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দিয়েছে। যেহেতু ব্যাংক টাকা পাবে, তাকে টাকা দেয়াও হয়েছে; কিন্তু তারা সিআইবির নাম দিয়ে আমার নমিনেশন বাতিল করলেন।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছে। কোন অদৃশ্য চাপে সরে গেছে, সেটা আমি জানি না। তবে আমি নিরপেক্ষতা চাই। আমি আপিল করব। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে যাব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করেই যাব ‘
Posted ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin