মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় টাকার জন্য মা আনোয়ারা বেগমকে কোপালেন ছেলে রাসেল হাওলাদার ও তার স্ত্রী পলি বেগম। পরে আহত অবস্থায় মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার ছোট বনগ্রাম এলাকার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাসার থানায় বুধবার রাতে একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্তরা হলেন- ভুক্তভোগীর ছেলে রাসেল হাওলাদার ও রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী পলি বেগম এবং দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী কানকলি।
জানা যায়, মৃত্যুর আগে তার বাবা ১০ লাখ টাকা মা আনোয়ারা বেগমের কাছে রেখে গেছেন, এমন দাবি করেন রাসেল। তবে তার মা তাকে জানান তার বাবা মৃত্যুর আগে কোনো টাকা রাখেননি। এই কথা শতবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও রাসেল তা বিশ্বাস করেননি। টাকা চেয়ে টাকা না পেয়ে রাসেল ও তার স্ত্রী পলি বেগম মিলে মা আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে আনোয়ারা বেগমের মেঝো ছেলে নাসির হাওলাদার বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করেন তারা। পরে নাসির হাওলাদার স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে রাসেল ও তার বউ পলি বেগম আমাকে এর আগে অনেক কয়েকবার মারধর করেছে। সে কোথায় শুনে এসেছে, মৃত্যুর আগে তার বাবা না কি আমার কাছে ১০ লাখ টাকা রেখে গেছেন। তার বাবা মৃত্যুর পূর্বে টাকা রেখে যাওয়া তো দূরের কথা তার মৃত্যুর আগে অনেক টাকা ঋণ হয়েছিল। এ কথা আমি আমার ছেলেকে শতবার বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। টাকা জন্য আমার ছেলে আমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রী পলি বেগমসহ কয়েকজনে মিলে আমার মাথার চুল ধরে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি মারতে থাকে। তারপর আমার মেঝো ছেলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
মেঝো ছেলে নাসির হাওলাদার বলেন, সামান্য টাকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যেভাবে কুপিয়েছে এবং আমাকে হত্যা করার জন্য হুমকি দিয়েছে। যেই মা দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করছে সেই মাকে এভাবে মারছে। আমি আমার ভাই এবং তার স্ত্রীসহ সহযোগীদের বিচার চাই।
ডাসার থানার ওসি হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
