নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
টানা প্রায় এক মাস বেড়ে দাম দ্বিগুণ হওয়ার পর স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজারে। সরবরাহ সংকটে এখনও ঊর্ধ্বমুখী আলুর দাম। আর মুরগির বাজার নিম্নমুখী হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে ইলিশের দাম। মুদি দোকানে কাটেনি চিনি সংকট।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১৯ মে) সকাল থেকেই পেঁয়াজ বেচাকেনায় সরগরম রাজধানীর কারওয়ানবাজার।
মাসখানেক আগে খুচরা পর্যায়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরের দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারাও বলছেন, দাম বেড়ে গেছে অনেক বেশি।
কারওয়ানবাজারের বিক্রেতারা জানান, দেশি পেঁয়াজের কেজি ঠেকেছে ৭৬ টাকায়। নতুন করে আর দাম বাড়েনি মোকামে।
এদিকে চাহিদামতো জোগান না মেলায় বাড়তি রয়েছে সস্তা হিসেবে পরিচিত আলুর বাজারদর। সপ্তাহ ব্যবধানে আলুর দাম আরও ২ টাকা বেড়ে পাইকারি পর্যায়েই বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।
আর নিম্নমুখী মুরগির বাজারে ব্রয়লারের কেজি নেমেছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। তবে ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজারে লাগাম ছুটে গেছে ইলিশের দামে। সপ্তাহ ব্যবধানে এক কেজি ওজনের এক হালি রুপালি মাছের দাম প্রায় আড়াই হাজার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, গেল সাত দিনের ব্যবধানে এক কেজি ওজনের প্রতিপিস রুপালি ইলিশের দাম বেড়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
এ ছাড়া এখনও সংকট কাটেনি খুচরা চিনির সরবরাহে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডাল-তেল, আটা-ময়দার দাম। সবজির দামও স্থিতিশীল রয়েছে।
চড়া মূল্যের নিত্যপণ্যের বাজারে অনেক পণ্যের বাড়তি দামের বোঝা নাভিশ্বাস তুলছে বলে জানান ভোক্তারা।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মাহবুবুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘প্রতিদিনই বাজারে এলে দেখা যাচ্ছে একেক দিন একেক ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু প্রতিদিন তো আমাদের আয় বাড়ছে না। দিন দিন জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে উঠছে।’
Posted ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin