নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৭ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
আগামী ১২জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন ১০নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শুক্রবার (২৬মে) খুলনায় চার মেয়রপ্রার্থীসহ ১৭৯ জনকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক পেয়েই ভোটের মাঠে লড়াইয়ে নেমেছেন প্রার্থীরা।
যে কারণে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোথায় কার দায়িত্ব:
নগরীর ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন ফুলতলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইউসুফ; ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে দিঘলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান; ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন খুলনা সহকারী কমিশনার সৈয়দ রেফাঈ আবিদ; ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী কমিশনার অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী এবং ৯, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এস এম শাহনেওয়াজ মেহেদী।
এছাড়া ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ভূপালী সরকার; ১৯, ২০ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা সদরের সরকারি কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম; ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন খুলনার সিনিয়র সহকারী কমিশনার সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া; ২৪, ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সহকারী কমিশনার রুপায়ন দেব এবং ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন রুপসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ হোসেন।
খুলনা সদরের সরকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ৩ থেকে ৪টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া আছে। সেইসঙ্গে আমাদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে ট্যাগ করানো আছে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্সও আছে। প্রাথীদের কেউ আচরণবিধি অমান্য করলে প্রাথমিকভাবে তাদের ডেকে আমরা সতর্ক করছি। প্রার্থী, তাদের এজেন্ট ও দায়িত্বশীল যারা রয়েছেন তাদের আমরা সতর্ক করছি। পরবর্তীতে যদি কেউ নির্দেশ অমান্য করে সেক্ষেত্রে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
কেসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং আমরা বদ্ধপরিকর। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং করতে পারবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে আচরণবিধি মেনে চলা। প্রার্থীরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে তাহলে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকল প্রার্থী যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা করে সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত আচরণবিধি দেখভালের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচনী এলাকায় মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করবেন আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় কিনা? যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডের ১৩৬ সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করবেন। ৩১ টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। আগামী ১২ জুন দ্বিতীয় ধাপে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে।
Posted ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin