নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১২ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
নরসিংদীতে স্বামীর বাড়ি থেকে সানজিদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সানজিদা সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মাহবুব আলমের স্ত্রী। তিনি পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ৯ বছর পূর্বে সানজিদার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মাহবুব আলমের। বিয়ের পরই মাহবুব কাজের উদ্দেশে মালয়েশিয়া চলে যান। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় মাহবুবের বাড়ির লোকজন সানজিদাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সানজিদার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় তার পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে প্রতিনিয়ত তাকে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে হতো।
অপরদিকে, মাহবুব মালয়েশিয়া থেকে সংসার চালানোর জন্য স্ত্রী সানজিদাকে কোনো টাকা দেননি। যার কারণে তিনি বেশির ভাগ সময় বাবার বাড়িতেই দিন পার করতেন। তিন মাস আগে মাহবুব মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে সানজিদাকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। এক মাস পর মাহবুব আবার মালয়েশিয়া চলে যান। রোববার রাতে মাহবুবের ভাই মাইনুল সানজিদার বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন ভাবি গলায় ফাঁস দিয়েছেন, আপনারা দ্রুত আসেন। পরে তারা সানজিদার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, তাকে বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। আর বাড়িতে থাকা সবাই পলাতক। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সানজিদার বাবা আলতাফ হোসেন জানান, আমার মেয়েকে তারা টাকা এনে দেওয়ার জন্য নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়েছে। তারপরও তাদের অত্যাচার থামেনি। আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। তারা মেয়ের বাচ্চাটিকে নষ্ট করে ফেলেন। আর আজ আমার মেয়েকে মেরে তারা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালালো। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
নরসিংদী সদর থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার বিষয়ে কাজ করছে, আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Posted ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin