নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৭ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
টাঙ্গাইলের মধুপুরে সহযোগিতার কথা বলে ভাইয়ের প্রেমিকাকে গণধর্ষণের উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতর করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব মিয়া, একই ইউনিয়নের কালিয়াকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান, জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. মামুন ও একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম। এর মধ্যে সজিব মিয়া ও হাফিজুর রহমান কিশোরীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছে।
জানা যায়, ওই কিশোরী মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগাডোবা গ্রামের মোস্তফার ছেলে নাজমুলের বন্ধু। তাদের মধ্যে সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নাজমুল সজিবের চাচাতো ভাই। শুক্রবার দুপুরে কর্মস্থল থেকে নাজমুলের বাড়িতে আসার পথে জামালপুরের রশিদপুর চৌরাস্তা থেকে নাজমুলের পক্ষে সজিব ও হাফিজুর তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে আনতে যায়। দুপুরে রওনা দিয়ে সজিবের বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন দিক ঘুরিয়ে বিকেলে মধুপুর উপজেলার চাঁদপুর রাবার বাগানের কালাপাহাড় এলাকার বনে নিয়ে যান। সেখানে ওই কিশোরীর মোবাইল ছিনিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন সজিব ও হাফিজুর।
এমনকি ঘটনা প্রকাশ করলে জীবননাশের হুমকি দেন তারা। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা আবার রশিদপুর চৌরাস্তায় মোবাইলসহ ওই কিশোরীকে রেখে যান। ওই সময় নাজমুলকে বিষয়টি বললে কিশোরীকে অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। এ সময় বাজারে অবস্থান করা মামুন সহযোগিতার কথা বলে ওই কিশোরীকে দিগপাইত নিয়ে যান।
সেখানে যাওয়ার সময় নাজমুল ফোন করে তার অবস্থান জেনে আবার রশিদপুর ফিরে আসতে বলেন। ওই কিশোরীকে মামুন আবার অটো নিয়ে রশিদপুরের দিকে ফেরার পথে রশিদপুরের কাছাকাছি এসে একটি বাড়িতে নিয়ে ঢুকেন। সেই বাড়ি থেকে যোগ দেন হাফিজুল। সেখান থেকে রশিদপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সর্দারবাড়ি এলাকার ধানক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তারা। ওই সময়ও ধর্ষণকারীরা তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে রশিদপুর-তুলসীপুর সড়কে তাকে ফেলে চলে যান তারা। এরপর ওই কিশোরী নাজমুলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিজের অবস্থান জানায়। নাজমুল মোটরসাইকেল নিয়ে এসে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মধুপুরের ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলীর কাছে নিয়ে যান। পরে চেয়ারম্যান দ্রুত তাদের থানায় পাঠিয়ে দেন।
ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলী বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ স্থানীয়ভাবে সমাধানের সুযোগ নেই। তাই তাদের থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এদিকে শনিবার সকালে নাজমুলসহ থানায় এসে ওই কিশোরী অভিযোগ করে। অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে পুলিশ।
মধুপুর থানার ওসি মাজহারুল আমিন জানান, ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটকদেরও আলাদাতে পাঠানো হবে।
Posted ৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin