নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
নেত্রকোণার মদন উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে গ্রাম্য সালিশে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ৮ জুন রাতে কাইটাইল ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে বাবু মিয়া প্রতিবেশী এক কিশোরীর শয়নকক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণচেষ্টা চালান। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে বাবু পালিয়ে যান। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি ঐ কিশোরীর পরিবার। তবে বাবু মিয়ার রেখে যাওয়া কাপড় তার পরিবারের লোকজনের কাছে দিয়ে ঘটনাটি জানান তারা।
পরে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন বিষয়টি মীমাংসার জন্য গ্রামের লোকজনের কাছে বলাবলি শুরু করেন। এতে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে মঙ্গলবার ঐ গ্রামের একটি বাড়িতে মাতব্বরদের নিয়ে সালিশে বসে। সালিশে উভয় পরিবার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার শর্তে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সালিশে মেয়েটিকে অভিযুক্ত বাবু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাবু মিয়ার বাবা নুরুল ইসলাম বিষয়টি মেনে না নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
মেয়েটির চাচা জানান, সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত বাবু মিয়ার বাবা বিষয়টি মেনে নেননি। তাই তারা তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
সালিশের মাতুব্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য রিটন মিয়া জানান, ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য বৈঠকে তারা বসেছিলেন। মেয়েটিকে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু বাবুর বাবা মানেননি। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
মদন থানার ওসি মোহাম্মাদ তাওহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ২:০৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin