নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০২ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
এবারো ঈদুল আজহার ছুটিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটকরা ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে বেড়াতে ছুটে এসেছেন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাহিরের পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা একটু বেশি। তবে আগামীর ছুটির দিনগুলোতে জেলার বাইরের পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে আশা করছেন হোটেল, মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা।
খাগড়াছড়ি জেলায় অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষণে টানে বদলে যাওয়া আলুটিলার পর্যটন,পর্যটনে এ্যম্ফি থিয়েটার, কুঞ্জ ছায়া, ব্যতিক্রমী ব্রিজ। এছাড়াও রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণায় প্রাণজুড়ে যায় পর্যটকদের।
শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়ানাভিরাম লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে দেখার মত রয়েছে মায়াবিনী লেক, হাতি মাথা পাহাড়, দেবতা পুকরু, তৈদু ছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও পানছড়ির অরণ্য কুঠির।
ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, তারা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন খাগড়াছড়িতে।
হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, এবারের ঈদে বাইরের পর্যটকের সংখ্যা তেমন নেই। আমরা আশা করছি ঈদের বাকি ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়বে।
খাগড়াছড়ি হোটেল গাইরিংয়ের ম্যানেজার সীমা ত্রিপুরা জানান, তাদের হোটেলের রুম বুকিং রয়েছে। ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছে।
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরণ বড়ুয়া জানান, বাইরের পর্যটক ও স্থানীয় পর্যটকরা যেন নিরাপদে ঘুরতে পারেন, সে ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বর্তমানে খাগড়াছড়ি এখন একটি পর্যটন নগরী শহর, ভবিষ্যতে খাগড়াছড়িতে যেন আরো বহু পর্যটকের আগমন ঘটে। এর সৌন্দর্য বর্ধনের প্রশাসন আরো কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটকদের।
Posted ৪:১৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin