নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
ভোলার মনপুরার বিচ্ছিন্ন কাজীরচরে চাষাবাদ করতে গেলে স্বপন ডাকাতের নেতৃত্বে লাঠিয়াল বাহিনী কৃষকদের উপর হামলা চালায়। এতে সাত পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশের এসআই সাগরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলায় এবং কৃষক মো. বাহারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মনপুরা উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের উত্তরে বিচ্ছিন্ন কাজীরচরে চাষাবাদ করতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
লাঠিয়াল বাহিনীর হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- মনপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শংকর তালুকদার, এসআই লুৎফুর, এসআই সাগর, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, কনস্টেবল শাহীন, কনস্টেবল নাইম এবং কনস্টেবল সাইদুল।
অপরদিকে হামলায় আহত কৃষকরা হলেন- মো. বাহার, মো. ফরিদ, জাবেদ ফরাজী, নুর ইসলাম ফরাজী, ছোট মনির ফরাজী, খোকন মেলেটারী, রাসেল ফরাজী, নুরনবী ফরাজী, মতিন ফরাজী, কাসেম, নাসির, মাইনুদ্দিন এবং আলাউদ্দিন। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
কয়েকজন কৃষক জানান, বিচ্ছিন্ন কাজীরচরে চাষাবাদ করতে গেলে একর প্রতি ছয় হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন স্বপন ডাকাত। তা না হলে চরে চাষাবাদ করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। এজন্য কাজীরচরের কৃষকদের পক্ষে মাইনুদ্দিন লিখিতভাবে ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে বুধবার সকালে মনপুরা থানার পুলিশসহ কৃষকরা কাজীরচরে চাষাবাদ করতে গেলে স্বপন ডাকাতের নেতৃত্বে লাঠিয়াল বাহিনী কৃষক এবং পুলিশের উপর হামলায় চালায়। এতে ২০ জন আহত হয়।
মনপুরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, কাজীরচরে কৃষকদের চরে চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না স্বপন ডাকাত- এ রকম একটি লিখিত অভিযোগ ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে করেন কৃষক মাইনুদ্দিন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে কৃষকদের নিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে বুধবার কাজীরচরে যায়। একপর্যায়ে কাজীরচরে জোরপূর্বক দখলদাররা পুলিশসহ কৃষকদের উপর হামলা চালায়। এতে পরিদর্শক (তদন্ত) সহ পুলিশের সাত সদস্য এবং কয়েকজন কৃষক আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি আরো জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Posted ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin