নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
এবার রাজশাহী অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আউশ ধান আবাদ হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে কিছুটা ছন্দপতন হলেও শেষ পর্যন্ত আষাঢ়ের ঝরা-বৃষ্টির ছোঁয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজশাহী অঞ্চলের (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর) এ গত বছর ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছিল। এবার মৌসুমের শেষ সময়ে ৩০ জুন পর্যন্ত তার অর্ধেকও অর্জিত হয়েছিল না। তবে আষাঢ়ের বৃষ্টির পর গত বছরের চেয়ে এখন পর্যন্ত বেশি আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। আর এবারের আউশের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০৫ হেক্টর। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ শতাংশ রোপণ হয়েছে। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্জিত হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দফতর।
পবা উপজেলার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির আগে খাঁ খাঁ করা বরেন্দ্র ভূমিতে এখন কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ জমিতে ধান লাগাচ্ছেন। কেউ বা ধান লাগিয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর শেষ পর্যন্ত আবহওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলনেরও প্রত্যাশা চাষিদের।
পবা উপজেলার কৃষক আব্দুস সত্তার জানান, ধান উৎপাদনে খুব বেশি লাভ হয় না। এ অবস্থাতেও সামান্য লাভের আশায় প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সঙ্গী করে অনেক কষ্ট করে তারা ধানের আবাদ করেন। এবারো বৃষ্টির কারণে অনেক দেরিতে ধান লাগাতে হচ্ছে। তবে ধানের দাম ভালো থাকায় ৩ বিঘা জমিতে আউশের আবাদ করেছেন।
চাষি আনসার আলী জানান, অনাবৃষ্টির কারণে প্রথমে আউশের চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরে বৃষ্টির পরপরই চারা রোপণ করি। এ কারণে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল। তবে এখন আবহাওয়া সুন্দর আছে।
রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, কৃষিভিত্তিক এ অঞ্চলে সব সময় খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে। করোনাকালেও এর ব্যত্যয় হয়নি। তবে এবারের অনাবৃষ্টিতে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কা কেটে গেছে।
Posted ৬:২১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin