নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা দেরিতে হাসপাতালে আসায় মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
বৃহস্পতিবার ঢাকার এফডিসিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা নিয়ে এক ছায়া সংসদে তিনি এ কথা জানান। ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি অথবা মহামারি ঘোষণা করার মতো কোনো অবস্থা ঘটেনি বলেও এ সময় উল্লেখ করে তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ না করে সারা বছর ধরেই প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ হাজার, অথচ এ বছর ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গুতে অসহায় পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে জরিমানা আদায়কৃত অর্থ ও সিটি করপোরেশনের বিশেষ তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
ঢাকা মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জায়গা না থাকার কথা বলে ডেঙ্গু রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, বেসরকারি সব হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার এনএস-১ টেস্ট ফি ৩ শত, আইজিজি টেস্ট ফি ৩ শত, আইজিএম টেস্ট ফি ৩ শত ও সিবিসি টেস্ট ফি ৪ শত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য টেস্ট ফি, বেড ভাড়াসহ বিবিধ খরচ নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।
মহাপরিচালক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের মালিকরা এর জন্য একমাস সময় চেয়েছেন। তবে শুধু আইন দিয়ে নয়, মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে বিবেকবান মানুষ হিসেবে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা উচিত।
‘ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট’ শিরোনামে ছায়া সংসদের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ছায়া সংসদে প্রস্তাবের পক্ষে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং বিপক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন।
Posted ১:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin