নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
৬ বলে ভারতের প্রয়োজন ৩ রান। আর জিততে হলে বাংলাদেশের দরকার এক উইকেট। মিরপুরের উইকেটে দাঁড়িয়ে জেমিমাহ রদ্রিগেজ ও মেঘনা সিং। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে টাইগ্রেস অধিনায়ক জ্যোতি বল তুলে দিলেন উঠতি পেসার মারুফা আক্তারের হাতে।
ভারত ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি সিঙ্গেল খেলেন মেঘনা ও জেমিমাহ। পরের বলটি স্ট্রাইক পান মেঘনা। আর সেখানেই বাজিমাত করেন মারুফা। আউটসাইড অফের লেংথ বলটি লেট কাট করতে গিয়ে জ্যোতির তালুবন্দী হন মেঘনা। আর তাতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেন বাংলার বাঘিনীরা। ওয়ানডে সিরিজটি ১-১ এ ড্র করে আনন্দে মাতেন জ্যোতি-মারুফারা।
এটি ছিল তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের শেষ মুহূর্তের চিত্র। তবে পুরো সিরিজেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন টাইগ্রেসদের উঠতি পেসার মারুফা। তার পারফরম্যান্স নিয়ে স্মৃতি মান্ধানার কন্ঠেও ঝরেছে প্রশংসা ও প্রত্যাশার বাণী।
অবশ্য বাইশ গজে বল হাতে ঝড় তোলা মারুফার উঠে আসার গল্পটি এতো সহজ ছিল না। আর এজন্য লাল-সবুজের জার্সিতে আলো ছড়ানোর পরও নানা বাধা আসছে তার ক্যারিয়ারে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মা এখনো বলে খেলাধুলা করিস না।
সিরিজের শেষ ওয়ানডের নাটকীয় ওভার নিয়ে মারুফা বলেন, ‘ওই মুহূর্তে সবারই একটা চাপ কাজ করে, স্বাভাবিক। ৬ বলে ৩ রান লাগত ওদের। তবু সবাই আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিল, আমি পারব। আমিও নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে বোলিং করে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ, হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ওরা (ভারতীয় ক্রিকেটার) যত বড় ব্যাটার হোক, সেটা দেখে লাভ নেই। খেলা হচ্ছে ব্যাট আর বলের। ওরা যত বড় ক্রিকেটারই হোক না কেন, আমার লক্ষ্য ছিল লাইন আর লেংথ। আমার মনোযোগ শুধু এখানেই ছিল। ধারাবাহিক ওভাবেই বোলিং করেছি। কই ওরা এত বড় ব্যাটার, তবু তো কাবু হয়ে গেছে (হাসি)।
পরিবার প্রসঙ্গে মারুফা বলেন, ‘আমি জোর করে খেলেছি। বাসায় বলত, তুই কী খেলবি, মেয়ে মানুষ, তোর কিসের খেলাধুলা! আমার ভাই সমর্থন দেওয়ায় আজ এখানে এসেছি। মা এখনো বলে খেলাধুলা করিস না। মা চায় বাসায় থাকব। কিন্তু আমার লক্ষ্য তো অনেক ওপরে যাওয়া।’
Posted ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin