বুধবার ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের নামে যেন আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি না হয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে দেশে যেন ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি না হয়। কেউ যেন বাংলাদেশের ক্ষতি করতে না পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

রোববার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পঞ্চম ধাপে ৩৪টি জেলায় ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শনিবার বেশ কয়েকটি বাসে বিএনপির অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা সন্ত্রাসী। এদের চরিত্র সম্পর্কে জনগণ ভালোভাবেই জানে। তারা ২০১৩-১৪ সালে চলন্ত বাস, ট্রেন ও লঞ্চে আগুন দিয়ে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। গতকালও একই অপচেষ্টা চালিয়েছিল। দেশের মানুষ বিএনপির ভয়ংকর চেহারা দেখে ফেলেছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ইসলামের নামে রাজনীতি করেছে, কিন্তু ইসলামের প্রতি তাদের ভালোবাসা নেই। দেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তাদের কোনো অবদানও নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং তাবলিগ জামাতের জন্য টঙ্গীতে এক টুকরো জমি বরাদ্দ করে সারাদেশে ইসলামের সত্য বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। সৌদি আরবে হজের পর টঙ্গীতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশবাসী যেন স্বল্প খরচে সৌদি আরবে হজ পালন করতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু হিজবুল বাহার জাহাজ কিনেছিলেন। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতির পিতার আন্তরিক উদ্যোগে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্যপদ লাভ করে।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ড অনুসরণ করে আমরা সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে সমাজে ইসলামের প্রকৃত চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। প্রতিটি জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস স্থাপন এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উন্নয়ন করেছি।

অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এমডি এ হামিদ জমাদ্দার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ।

এর আগে, ২০২১ সালের ১০ জুন, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি, ১৬ মার্চ, ১৭ এপ্রিল চারটি ধাপে ৫০টি করে মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা সহ ওযু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আচার ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং ইসলামী দাওয়াতের জন্য কনফারেন্স রুম, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদের সাথে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে মসজিদে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:০৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]