নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি ব্যায়ামাগারে (জিম) গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূসহ দুইজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাব নামক একটি জিমে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ‘৯৯৯’-এ কল করলে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে জিমের পরিচালক হাবিবুল্লাহ ভূইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায়, ওই গৃহবধূ ও তার বোন হেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস সেন্টারে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। সেখানে মেয়েদের ব্যায়াম করার আলাদা ব্যবস্থা ও পুরুষ যাওয়ার অনুমতি না থাকায় দুই বোন সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। জিমের ট্রেইনার মিতু আক্তারের আচরণে তাদের সন্দেহ হয় গোপন ভিডিও ধারণ করার। গত দুইদিন আগে তারা নিশ্চিত হন ট্রেইনার মিতু গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করেছে।
বুধবার বিকেলে তারা দুই বোন ট্রেইনার মিতুকে ভিডিও করার কথা জিজ্ঞেস করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়৷ এরই জেরে ট্রেইনার মিতু জিমের পরিচালক হাবিবুল্লাহ ভূইয়া বিপ্লবকে জানায়। এই খবর পেয়ে বিপ্লব তাদের দুই বোনের কাছে যান মিতুকে নিয়ে। সেখানে মিতু ওই গৃহবধূর চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে জিমে থাকায় শহরের উত্তর পৈরতলার সোহেল মিয়া নামের এক যুবক তাদেরকে বাঁচাতে আসলে বিপ্লবসহ তার সহযোগীরা তাদের সবাইকে লোহার রড দিয়ে বেদরক মারধর করে আটকে রাখে।
এই অবস্থায় তাদের পরিবারের লোকজন আসলে জিমের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। আশপাশের সড়কে উৎসুক মানুষ জমায়েত হয়ে ভিডিও করে ঘটনাটি ফেসবুকে দেয়। পরে ‘৯৯৯’ এ কল দিলে সদর মডেল থানা পুলিশ এসে মারধরের শিকার দুই বোন ও সোহেলকে উদ্ধার করে।
জিমের পরিচালক হাবিবুল্লাহ ভূইয়া বিপ্লব, ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই গৃহবধূ ও সহায়তা করতে আসা সোহেলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, জিমের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮-৯জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মধ্যরাতে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
Posted ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin