নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
শ্মশান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বৃদ্ধার মরদেহ। দাহ কার্য শুরুর সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন। এমনই মুহূর্তে স্বজনরা ধারণা করেন যে বৃদ্ধা জীবিত আছেন। এ নিয়ে শশ্মান ঘাট এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়। মুহূর্তেই সেখানে গণমাধ্যমকর্মী ও উৎসুক জনতা ভিড় জমান। ছুটে আসেন সিভিল সার্জন ও জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তাও। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠি পৌর শ্মশান ঘাটে।
ঝালকাঠি জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরাণ কর্মকার বলেন, ‘আমাদের সমিতির সদস্য মেঘা জুয়েলার্সের মালিক শান্তি কর্মকারের মা সাধনা রানী রায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে পোস্ট অফিস রোডের নিজ বাসভবনে মারা যান। ৮৫ বছরের এই বৃদ্ধার মৃত্যুর কারণ বার্ধক্যজনিত। ‘মরদেহ দাহ করার জন্য দুপুর ১টার দিকে পৌর শশ্মানে নেয়া হয়।
শশ্মানের গেটে নেয়ার পর তার নাতনী উপস্থিত অন্যদের জানান যে তার দাদুর শরীর এখনও গরম, হয়তো জীবিত আছে। তারপর মরদেহ পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকরা বৃদ্ধার ইসিজি ও পালস পরীক্ষা করেন। আর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক বৈশাখী বড়াল স্বজনদের জানিয়ে দেন যে ওই বৃদ্ধা বেশ আগেই মারা গেছেন।
বৃদ্ধার মেয়ে জামাতা বাবুল কর্মকার বলেন, হাসপাতাল থেকে আমার শাশুড়িকে আবার শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এরমধ্যে মৃত ব্যক্তি জীবিত হয়েছে এমন খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকরা শ্মশানে ভিড় জমান।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সানি এবং কনসালট্যান্ট ডা. আবুয়াল হাসান ছুটে যান শশ্মান ঘাটে। সেখানে তারা সাধনা রানীর পালস ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেন। তারাও উপস্থিত সবাইকে জানিয়ে দেন যে সাধনা রানী বেঁচে নেই। তিন বেশ আগেই মারা গেছেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের সিভিল সার্জন বলেন, সাধনা রানী মৃত। মৃত্যুর পর ৩-৫ ঘণ্টা মহদেহ গরম থাকতে পারে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
Posted ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin