শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কলেজছাত্র আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

রোববার সকালে গাজীপুর পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১৪। চাঞ্চল্যকর ঐ মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় আট বছর আত্মগোপনে ছিলেন সাজু। গ্রেফতারকৃত সাজু নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক শেরপুর সদর উপজেলার যোগনীমুড়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে আব্দুর রাজ্জাক এবং তার সহপাঠীরা মিলে নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে যান। ঐ সময় সাজুসহ কয়েকজন ছিনতাইকারী লাল পাহাড় ও ঝর্ণা দেখানোর কথা বলে আব্দুর রাজ্জাক ও তার দুই সহপাঠীকে ইকোপার্ক এলাকা থেকে বের করে বুরুঙ্গা কালাপানি লাল পাহাড়ের গহীনে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর অস্ত্রের মুখে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। একপর্যায়ে সাজু ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাকের বুক ও পেটে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ সময় ছিনতাইকারীরা আব্দুর রাজ্জাকের দুই সহপাঠীকে আহত করলে তারা চিৎকার করতে করতে পাহাড় থেকে বেড়িয়ে আসেন। এ সুযোগে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা প্রথমে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী হাসপাতালে পাঠান। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রাজ্জাকের লাশ উদ্ধার করে।

র‌্যাব-১৪ এর (সিপিসি-১) জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা সোহরাব আলী বাদী হয়ে সাত থেকে আটজনকে আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল সাজু আহম্মেদ ওরফে খোকনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সাজু আট বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে পোশাক শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন।