নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
সেরা অভিনয় শিল্পীর কাতারে তিনি আজও অমলিন। নানা রকম চরিত্রে নিজেকে ধারণ করেছেন বারংবার। অভিনয়ের বটবৃক্ষও বলা হয় তাকে। তিনি আর কেউ নন; তিনি কিংবদন্তি প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামান। আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) তার জন্মবার্ষিকী। দুবছর আগে, ২০২১ সালের ২০ ফেব্রয়ারি ওপারে পাড়ি জমান তিনি।
এটিএম শামসুজ্জামানের জন্ম নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়। তার বাবা ছিলেন বিশিষ্ট উকিল; শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতিও করতেন।
তিনি ঢাকার পগোজ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। স্কুলে তার প্রিয় বন্ধু ছিলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র। তিনি উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন জগন্নাথ কলেজ থেকে।
এটিএম শামসুজ্জামান চলচ্চিত্রে আসেন ১৯৬৫ সালে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র নয়া জিন্দগানি। চলচ্চিত্রটি অবশ্য মুক্তি পায়নি। ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার এতটুকু আশা চলচ্চিত্রে তাকে দেখা যায়।
এরপর তিনি সুয়োরাণী দুয়োরাণী, মলুয়া, বড় বউ চলচ্চিত্রে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি মলুয়া চলচ্চিত্রের সংলাপও রচনা করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য।
শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় কৌতুক অভিনেতা হিসেবে। জলছবি, যাদুর বাঁশি, রামের সুমতি, ম্যাডাম ফুলি, চুড়িওয়ালা, মন বসে না পড়ার টেবিলে চলচ্চিত্রে তাকে কৌতুক চরিত্রে দেখা যায়। তার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রটি। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন।
এর আগে নারায়ণ ঘোষ মিতার লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও খল চরিত্রে তার কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল-অশিক্ষিত, গোলাপী এখন ট্রেনে, পদ্মা মেঘনা যমুনা, স্বপ্নের নায়ক। এছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-অনন্ত প্রেম, দোলনা, অচেনা, মোল্লা বাড়ির বউ, হাজার বছর ধরে, চোরাবালি।
২০১৫ সালে একুশে পদক পান তিনি। তাছাড়া ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন এই কিংবদন্তি।
Posted ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin