নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
যশোরে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই কিশোরীকে ধর্ষণের পর ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করেছে তার সৎ বাবা। ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সৎ বাবাকে আটক করেছে।
পুলিশের কাছে হত্যার বর্ণনা দিয়েছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দড়িয়াপাড়া গ্রামের নরপশু সৎ বাবা মিন্টু শেখ।
সোমবার সকালে সদর উপজেলার সাতমাইল এলাকায় রেল লাইনের পাশ থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর রহস্য উদঘাটনে নামে ডিবি পুলিশ।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বেলাল হোসাইন জানান, মিন্টুকে আটকের পর তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। মিন্টু জানায়, প্রথমে তাকে চৌগাছায় বলুহর মেলায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে মেয়েকে যশোরের স্টেশন এলাকার হোটেল বৈকালীতে বাবা-মেয়ে পরিচয়ে দুপুর একটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থাকে। ওইসময় তিনি মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরে যশোর শহর ঘুরে রাত আটটার পর রেল স্টেশনে যায় তারা। এরপর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পাশের একটি ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে আবারো তাকে ধর্ষণ করে মিন্টু। পরে রাত ১১ টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসে ওঠে তারা। সাতমাইল এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের গেটে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় কিশোরী মেয়েকে। এরপর বাড়ি ফিরে মিন্টু জানায়, মেলা থেকে মেয়ে পালিয়ে গেছে।
হত্যার শিকার কিশোরী আঁখির মা জানান, আঁখিকে চৌগাছার বলুহ দেওয়ানের মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মিন্টু রোববার সকালে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে বাড়িতে ফিরে মিন্টু বলে আঁখি অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম করে চলে গেছে।
সোমবার ভোরে যশোরের সাতমাইল এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশনের অদূরে রেল লাইনের পাশে ওই কিশোরীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। লোকজন জড় হলেও লাশ শনাক্ত হয়নি। পরে যশোর কোতোয়ালি থানা ও জিআরপিতে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় ডিবির অভিযানিক অফিসার এসআই মফিজুর রহমান তদন্ত চালান ও অপরাধী শনাক্ত করেন।
এদিকে, রেলস্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার রাত ৮টার পর ঘাতক মিন্টুকে নিয়ে ওই এলাকায় যায় ডিবি পুলিশ। পরে হোটেল বৈকালীতে গিয়ে মিন্টুর কথার সত্যতা পায়। স্থানীয়দের সামনেই মিন্টু সবকিছু স্বীকার করে।
Posted ২:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin