নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মেঘনা নদীতে মাছ ধরার খেপ দখলকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের গুলিতে ২ জেলে নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হন আরো আটজন।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আহতদের একই দিন রাত ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী।
নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের নাছির আহমদের ছেলে আব্দুর রহমান ও একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইসমাইল।
দুই জেলে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাস।
তিনি বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে সন্দ্বীপ কোস্টগার্ডের সদস্যরা ২ জেলের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই সময় আহত ২-৩ জনকে জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- জিল্লুর রহমান ও নুর আলম মিয়া। এরমধ্যে জিল্লুর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভুলু মাঝির ছেলে ও মিয়া একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরতরাব আলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। অপহৃত জেলেরা হলেন- রাজু, জুয়েল, আব্দুর রহমান, হোসেন ও ইসমাইল।
ভুক্তভোগী জেলেরা বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশ থেকে দীর্ঘদিন থেকে মাছ শিকার আসছেন। কিছু দিন আগে থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খেপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। বুধবার বিকেলে কেফায়েত বাহিনী ওই খেপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যায় ভুক্তভোগী জেলেরা।
একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল জেলেদের দুটি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ,জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে জলদস্যু বাহিনীর গুলিতে ২ জেলে গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই সময় জলদস্যু বাহিনী পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো.মহিউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্টের আরেক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের জানা নেই।
চরজব্বর থানার ওসি হুময়ায়ন কবির বলেন, মেঘনা নদীতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
Posted ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin